স্বদেশ ডেস্ক: জেলে বন্দিদশার অবস্থাতেই পিটার মুখোপাধ্যায় আর ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের ডিভোর্স হয়ে গেল। সেই সঙ্গে ১৭ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানল এই দম্পতি। ঠিক এক বছর আগে ২০১৮-র অক্টোবরে দুই পক্ষ নিজেদের আইনজীবী মারফত মুম্বইয়ের বান্দ্রা ফ্যামিলি কোর্টে মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর ফ্যামিলি কোর্টের বিচারপতি দু’পক্ষকে নিজেদের সিদ্ধান্তকে ভেবে দেখার জন্য ছ’মাস অন্তর্র্বতী সময় দেয়। সেই সময় শেষ হয়ে যায় এই সেপ্টেম্বরে।
গোয়ায় পিটার মুখোপাধ্যায়ের নামে যে অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, সেই অ্যাপার্টমেন্ট ইন্দ্রাণীর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্না আর ইন্দ্রাণীর মেয়ে বিধি খান্নার নামে করে দেওয়া ছাড়া পিটার আর ইন্দ্রাণীর বাকি সম্পত্তি নিজেদের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের ওরলির মার্লো বিল্ডিংয়ের অংশ, লন্ডনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট আর স্পেনের একটি ফ্ল্যাট ছাড়াও মুম্বইয়ের লোয়ার প্যারেলের একটি অফিস নিয়ে পিটার আর ইন্দ্রাণীর মধ্যে সমঝোতা হয়। লোয়ার প্যারেলের অফিস স্পেস আইএনএক্স মিডিয়ার অফিসের জন্য নিয়েছিলেন এই দম্পতি। এছাড়াও এই দম্পতির ভারতের সিন্ডিকেট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও ফিক্সড ডিপোজিটে, স্পেনের ব্যাংকো সাবাদেল আটলান্টিকো, এবং নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের এএনজেড ব্যাঙ্কে থাকা মোট তিপান্ন কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেবেন। ২০১৫-র আগস্টে নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যার জন্য খার পুলিশ ইন্দ্রাণীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ২০১৫-র নভেম্বরে পিটারকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মেয়ে শিনাকে হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালের আগস্ট মাস থেকে জেলে রয়েছেন ইন্দ্রাণী। সেই চক্রান্তে শামিল থাকার অভিযোগে জেলবন্দি তাঁর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ও। এই ইন্দ্রাণী ও পিটার হলেন আইএনএক্স মিডিয়ার যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা। অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের (এফআইপিবি)-র অনুমোদন না নিয়েই, সংস্থার জন্য কোটি কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ আনার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। বিপদ এড়াতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তির সাহায্য নিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী ও পিটার। আর ছেলের কথা ভেবে চিদম্বরম তাঁদের অন্যায় সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।